-->

Watch Live Cricket



Live cricket streaming



দোলেশ্বরে ডুবল আবাহনী বেঁচে গেল শেখ জামাল

প্লেয়ার বাই চয়েস' পদ্ধতিটার রূপকারদের অন্যতম ছিলেন আবাহনী লিমিটেডের কর্মকর্তারা। আর এই পদ্ধতির ফলে লটারি থেকে একটা দুর্বল দলই কার্যত হাতে পেয়েছিল তারা। গতকালই তার ফল পেল ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি। তিন সেঞ্চুরি ও দুই ৫ উইকেটের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৫৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাল আবাহনীকে।

আবাহনীর এই হারের দিনে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের বিপক্ষে (সিসিএস) কোনোক্রমে হার এড়িয়েছে এবার লিগের অন্যতম বড় দল শেখ জামাল। বিকেএসপিতে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে ফতুল্লায় কলাবাগান ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষেও প্রাণপণ লড়াই করে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে তারকাখচিত মোহামেডান দল।

তিন সেঞ্চুরি ও দুই ৫ উইকেট

নামের বিচারে আবাহনীর সঙ্গে প্রাইম দোলেশ্বরের তুলনাই হয় না। কিন্তু এবার অন্তত................
বিদেশি খেলোয়াড় ও দেশি ক্রয় মিলিয়ে দোলেশ্বর বেশ এগিয়েই গেছে। কাল ম্যাচে সেই প্রমাণটাই দিল তারা।

নতুন পেস সেনসেশন আল আমিনের আক্রমণে আগে ব্যাট করা দোলেশ্বর ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু এরপরই আবাহনীকে মুদ্রার উল্টো পিঠটা দেখিয়ে দেন দুই সেঞ্চুরিয়ান মোমিনুল হক ও রোশানে সিলভা।

চতুর্থ উইকেটে এই দু'জন গড়ে তোলেন ২৭৬ রানের বিশাল জুটি। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে মোমিনুল যখন আউট হন নামের পাশে তার ১২২ বলে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ১২৯ রানের ইনিংস। ওই একই ওভারের শেষ দুই বলে রোশানে ও ফরহাদ রেজার উইকেটও তুলে নেন আল আমিন। আউট হওয়ার আগে ১২৭ বলে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ১৪০ রানের ইনিংস খেলে যান রোশানে।

আর এই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে আবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ফেলেন আল আমিন। ফলে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ২ ম্যাচেই আল আমিনের শিকার ১১! তারপরও আল আমিন কাল মন খুলে হাসতে পারেননি। কারণ শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলের খেলোয়াড় হিসেবে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। বিশাল রান তাড়া করতে গিয়ে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও থারাঙ্গা পারানাভিতানা ও মোসাদ্দেক ভালো নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। এই দু'জন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ১৬৫ রান। থারাঙ্গা ৮১ রান করে আউট হলেও মোসাদ্দেক ম্যাচের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করে গেছেন। অবশ্য ১০৬ বলে করা তার ১০০ রানের ইনিংস বিফলে গেছে।

দোলেশ্বরের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছেই মাঠ ছেড়েছেন।

বৃষ্টির পর মান রক্ষা

আবাহনীর মতোই পরিণতি হতে যাচ্ছিল শেখ জামালের। আগে ব্যাট করে তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান উত্তম সরকার, অমিত মজুমদার ও গিহান রূপাসিংহের মাঝারি তিন ইনিংসে ভালো সূচনা করে সিসিএস। সঙ্গে নূরুল হাসান ও মিলনের দুটো ক্যামিও মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪৭ রান তোলে সিসিএস।

জবাব দিতে নেমে জুনায়েদের ৪২ ও শেহজাদের ৮৩ রানের পরও বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল শেখ জামাল। থিলান তুষারা শেষ দিকে দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে জয় থেকে ৫ রান দূরে থাকতে ৯ উইকেট ফেলে দেন শেখ জামালের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১ উইকেটেরই জয় পায় জামাল।

এর আগে ম্যাচের ৩০তম ওভারে শেখ জামালের রান ৪ উইকেটে ১২৭ থাকা অবস্থায় বিকেএসপির 'নিয়ম' বৃষ্টি এসে আঘাত হানে। পরে ৪৭ ওভারে ২৩৯ রানের লক্ষ্য ঠিক হয় তাদের।

দিলশানে উদ্ধার

কাল তিন ভেন্যুতেই ফেবারিটরা হেরে গেলেও বিস্ময়ের কিছু ছিল না। অন্তত ম্যাচের চূড়ান্ত পরিণতির আগ পর্যন্ত তাই মনে হচ্ছিল। কলাবাগান ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সামান্য ১৪০ রান পাড়ি দিতে গিয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল মোহামেডান।

প্রথমে ব্যাট করে শরীফউল্লাহর ৫০ রানে ভর করে ১৪০ রান তুলেছিল অ্যাকাডেমি; মোহামেডানের মুরাদ খান ২৮ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। মোহামেডানের ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই বৃষ্টি নামে; তাদের রান তখন ১ উইকেটে ৩২। বৃষ্টির পর তাদের লক্ষ্য ঠিক হয় ৩৪ ওভারে ১১৯ রান। এই সময়ই বিপাকে পড়ে যায় তারা। মাকসুদুল ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মোহামেডানকে চেপে ধরেন। শেষ পর্যন্ত দিলশানের ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে জয় পায় মোহামেডান।

No comments:

Post a Comment

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks